মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৪ অপরাহ্ন
শিক্ষানবিশ আইনজীবী রেজাউল করীমের লাশ ময়না তদন্তের পর রোববার বিকাল ৫টায় নগরীর সাগরদীর বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। লাশ পৌঁছানোর পর কয়েকশত এলাকাবাসী সাগরদী এলাকার প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষুব্ধরা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটায়।
এ সময় রাস্তায় নারী-পুরুষ নেমে এসে রেজাউল হত্যার বিচার দাবি করেন। এতে সড়কে যানবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
রেজাউল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে তার স্বজনরা একে পুলিশি নির্যাতনে হত্যার অভিযোগ করেছেন।
খবর পেয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং রেজাউলের মৃত্যুর জন্য পুলিশ দায়ী হলে সংশ্লিষ্টকে আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই সড়কে আংশিক যানবহন চলাচল শুরু হয়।
রেজাউলের বন্ধু আতিক সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জানান, তখনও সড়কের একাংশে অবস্থান নিয়ে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করছেন।
এদিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রেজাউল চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা ও সেবক ছিলেন। তার বামপাশের কুচকিতে ক্ষত ছিল। সেখান থেকে রক্তক্ষরণ হয়ে তার মৃত্যু ঘটেছে। রেজাউলের মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনে উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. মোকতার হোসেনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে শিক্ষানবিশ আইনজীবী রেজাউলের শেবাচিম হাসপাতালের প্রিজন সেলে মৃত্যু ঘটে। এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর ডিবি পুলিশের এসআই মহিউদ্দিন মাহি রেজাউলকে মাদক পাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করে। পরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। শনিবার রাতে রেজাউল অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষ রেজাউলকে শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে রাত ১২টায় তার মৃত্যু ঘটে।
নিহত রেজাউলের বাবা ইউনুস ও স্ত্রী মারুফা দাবী করেছেন পুলিশি নির্যাতনে রেজাউলের মৃত্যু ঘটেছে।